মেঘালয়ের অজানা কিছু তথ্য:-
মেঘালয় সম্পর্কে কিছু জানা অজানা তথ্য আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি।
এর সাহায্যে আপনারা মেঘালয় সম্বন্ধে জানতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও ধারণা লাভ করতে পারবেন।
মেঘালয়ের অজানা কিছু তথ্য I onlinedairy.in
মেঘালয়ের রাজ্য গঠন :
মেঘালয় রাজ্য গঠন হয়েছিল ২১ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।
মেঘালয়ের আয়তন :
মেঘালয়ের মোট আয়তন হল ২২,৪২৯ বর্গ কিমি (৮,৬৬০ বর্গমাইল)।
মেঘালয়ের জনসংখ্যা:
মেঘালয়ের মোট জনসংখ্যা হল (২০১২) অনুযায়ী ২.৬৫১ মিলিয়ন।
মেঘালয়ের জনঘনত্ব:
মেঘালয় সর্বমোট জনঘনত্ব হলো ১৩০/বর্গ কিমি (৩৪০/বর্গমাইল)।
মেঘালয়ের সাক্ষরতার হার:
মেঘালয় সর্বমোট সাক্ষরতার হার হল ৭৫.৮৪ %।
মেঘালয়ের ভাষা:
খাসি ভাষা ও গারো ভাষা এই রাজ্যের প্রচলিত দুটি ভাষা। এছাড়াও রয়েছে বাংলা, হিন্দু, ইংরাজি প্রভৃতি ভাষা।
মেঘালয়ের প্রধান প্রধান নদী:
মেঘালয় তে অনেক নদী রয়েছে। এদের অধিকাংশই বৃষ্টিনির্ভর ও মৌসুমী হয়। ধলা নদীটি ভারতের মেঘালয় এবং বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলার একটি নদী। নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। মেঘালয় ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মাওলিননং। এই গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে উমনগোট নদী। এছাড়াও রয়েছে সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, কালু, মিঁতড়ু প্রভৃতি।
মেঘালয়ের রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি ফসল:
মানবসভ্যতার ধান চাষে মেঘালয় গুরত্বপূর্ন রয়েছে। ইয়ান গ্লোভার- ধান চাষের ইতিহাস সম্পর্কে বলেছেন ভারত ধান ও অন্যান্য ২০,০০০ প্রজাতির শস্য চাষের একটি প্রধান কেন্দ্র ভূমি এবং উত্তর পূর্ব ভারত ধান চাষের একটি অনুকূল স্থান। এছাড়াও এই সমস্ত স্থানে ঝুম ও স্থানান্তর চাষ আজও প্রচলিত।
মেঘালয়ের পর্বত:
আসাম রাজ্য দুটি জেলা: খাসি ও জয়ন্তিয়া পাহাড় এবং গারো পাহাড় নিয়ে মেঘালয় গঠিত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গারো পাহাড়।
মেঘালয়ের বিধানসভার নির্বাচনক্ষেত্র:
মেঘালয় সর্বমোট বিধানসভার নির্বাচনক্ষেত্র সংখ্যা হল ৬০।
মেঘালয়ের সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র:
মেঘালয় সর্বমোট সংসদীয় নির্বাচন ক্ষেত্রের সংখ্যা হল ২।
মেঘালয়ের সংসদীয় রাজ্যসভা আসন:
মেঘালয় সর্বমোট সংসদীয় রাজ্যসভার আসন হল ১টি।
মেঘালয়ের সংসদীয় লোকসভা আসন:
মেঘালয় সর্বমোট সংসদীয় লোকসভা আসন হলো ২টি।
মেঘালয়ের নামকরণ:
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে পাহাড়ি অঞ্চল গুলি নিয়ে রাজ্য গঠনের সময় ভারত সরকার শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া মেঘালয় নামটি গ্রহণ করে এবং মেঘালয় নামক পূর্ণরাজ্যের জন্ম হয়। ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ তফসীল অনুসারে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের ৩৭ সদস্যের আইনসভা থাকায় আইনটি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ২ এপ্রিল কার্যকারী হয়।
মেঘালয়ের ইতিহাস:
মেঘালয় ইতিহাসে প্রথমে রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক যুগ। এই যুগে মেঘালয় সহ ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্য গুলি প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি বিশেষ আগ্রহের বিষয়। নব্য প্রস্তর যুগ থেকে এখানে মানুষের বসবাসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মেঘালয়ের পাহাড়ি অঞ্চল প্রত্নতাত্ত্বিক সময় থেকে মানুষের বসবাসের চিহ্ন বহন করছে।
এরপর রয়েছে আধুনিক যুগ এই যুগে ঊনিশ শতকে ক্রিস প্রশাসনের অধীনে না আসা পর্যন্ত খাসি, গারো ও জয়ন্তিয়া উপজাতিদের নিজস্ব রাজ্য ছিল।
পরবর্তীকালে ব্রিটিশরা ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে মেঘালয়কে আসামের অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৯১৯ এর ৫২ ধারা অনুযায়ী ভারতীয় গভর্নর জেনারেল-ইন-কাউন্সিল খাসি রাজ্যগুলি বাদ দিয়ে মেঘালয় অঞ্চল গুলিকে পশ্চাত্পদ এলাকা হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে সাংসদে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল আইন, ১৯৭১ পাশ হওয়ার পর মেঘালয়ের সায়ত্বশাসন রাজ্যকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২১ জানুয়ারি থেকে মেঘালয় নিজস্ব বিধানসভা গঠন করে পুর্নরাজ্যে পরিণত হয়।
মেঘালয়ের দর্শনীয় স্থান:
ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকের সবচেয়ে সুন্দর রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হলো জল পাহাড়ের মেঘালয়। মেঘালয় তে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলি হলো মাওলিনং গ্রাম, শিলং -মেঘালয়ের আকর্ষণ শিলং আর শিলংয়ের আকর্ষণ মাওলিনং গ্রাম। এখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাড়িঘর আর পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে আছে অফুরন্ত সৌন্দর্য।
এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মাওলিনং ঝরনা। লাই লাতলুম গিরিখাত- মেঘালয়: যদি ট্রেকের সন্ধান করে থাকেন তবে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে লাই লাতুম গিরিখাত। এখানে পৌঁছে গেলে চারিদিকে অপরুপতা দেখে মুগ্ধ হওয়ার উপায় নেই।
ডাবল ডেকার জীবন্ত শেকড়: চেরাপুঞ্জি ভারতের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে। প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট এক বিশাল এই শিকড় কালের অন্তরে প্রকাণ্ড নিয়েছে সেতুটি। তাও আবার উপরে নিচে মোট সেতু সংখ্যা দুটি।
লালং পার্ক: জোয়াই মেঘালয়ের জোয়াই থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে সবুজের রাজ্যে এই লালং পার্ক। ক্লান্ত চোখেকে প্রশান্তি দিতে এখানকার সবুজ ও তার তুলনা হয়না। এখানে সরকার একটি পার্কের উন্নয়নে কাজ শুরু করছেন।
ডন বক্সে সেন্টার অফ ইনডিজেনাস কালচার, মাউলাই, শিলং: এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটি হলো লাইব্রেরী সেকশন। উত্তর-পূর্ব ভারত আর তার ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হলে এখানে এক না একদিন আসতে হবে।
মেঘালয় আর মেঘালয়ের ছয়টি অঙ্গরাজ্যের পূর্ণ কথন ধ্বনিত এখানকার প্রতিটি করিডোরে। উমিয়াম লেক, রি ভোই জেলা,: নংপোহ মেঘালয়ের রিভিউ জেলার নংপোহতে অবস্থিত মেঘালয় অন্যতম উইলিয়াম লেক সবাই বলতো এখানকার দেওয়া একটি বাঁধ থেকে এই হ্রদের সৃষ্টি।
দ্যা এলিফ্যান্ট ফলস, শিলং: শিলং মেঘালয় যাদুর শহর। শ্রীলং উল্লেখযোগ্য জায়গাটি হল এলিফ্যান্ট ফলস বা ঐরাবত জলপ্রপাত। এরূপ নামকরণের পিছনে কারন আছে যথেষ্ট। এই জলপ্রপাতের কালো পাথরগুলো মিলিত হয়ে এক ঐরাবত আকৃতির সৃষ্টি করেছিল, সেই থেকে এর নাম দ্যা এলিফ্যান্ট ফলস।
মেঘালয়ের অজানা কিছু তথ্য I onlinedairy.in
No comments:
Post a Comment