আসামের অজানা কিছু তথ্য I onlinedairy.in
আসাম সম্বন্ধে নানান তথ্য
আসাম সম্বন্ধে কিছু জানা অজানা তথ্য আমি আপনাদের
কাছে নিয়ে এসেছি।
এর সাহায্যে আপনারা এর সম্বন্ধে
বিশেষ কিছু জানতে পারবেন এবং ধারণা লাভ করতে পারবেন।
আসামের রাজ্য গঠন:
আসাম রাজ্য গঠিত হয়েছিল ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে।
আসামের জনসংখ্যা:
আসামের ২০১১ সালের সর্বমোট জনসংখ্যা হল ৩,২৯,০০,০০০।
আসামের জনঘনত্ব:
আসামের সর্বমোট জনঘনত্ব হলো ৩৯৮/বর্গ কিমি (১,০৩০/বর্গমাইল)।
আসামের সাক্ষরতার হার:
স্বাক্ষরতার দিক থেকে দেখলে গেলে আসামে
সাক্ষরতার হার হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই রাজ্যে ৮৫.৯%।
আসামের ভাষা:
১৮৩৬ সালে বাংলা ভাষাকে আসাম রাষ্ট্রভাষা করা
হয়। বর্তমানে অসমীয়া ভারতের আসাম রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং রাজ্যের সমস্ত
কর্মকাণ্ড এটি ব্যবহৃত হয়। আসামের অধিবাসী আসামের ভাষাকে অসমীয়া নামে আখ্যায়িত
করা হয়। তবে আসামের এক-তৃতীয়াংশ অধিবাসী বাঙালি।
আসামের প্রধান প্রধান নদী:
ব্রহ্মপুত্র ভারতের তথা আসামের এক প্রধান নদী।
আসামের বেশিরভাগ নদীগুলি দূষিত। আসামে দুইটি নদী বরাক ও সোনাই নদী ছাড়া সমস্ত নদী
দূষিত। এই নদী গুলির মধ্যে রয়েছে আরো ও ৪৪টি নদী। যেমন ভরালু, বরসোলা, দীপর বিল, কামালপুর, বারই,বেগা,বেকি,ভোগদৈ,বগীনদী,বরবিল,বিল মুখ,জিয়া,ভরালি প্রভৃতি নদী।
আসামের জেলার কৃষি ফসল:
১৩২৭০০ হেক্টর জমির ভৌগোলিক অঞ্চল সহ
হাইলাকান্দি জেলা আসামের বরাক উপত্যাকা কৃষি জলবায়ু অঞ্চলের ১৯.২৬% এলাকা দখল
করেছে। আসামে উৎপাদিত ফসল গুলি হল ধান, মটর, ফরাসি সিম,
সরিষা, তিসি, তিল, আলু, মিষ্টি আলু, মরিচ, হলুদ, গোলমরিচ। এছাড়াও
কিছু ফল ও উৎপাদিত হয় নারকেল, আনারস, লিচু, বাদাম, পেয়ারা, জ্যাক ফল, আসামি লেবু, কলা, পেঁপে প্রভৃতি।
আসামের বিধানসভা আসন:
২০২১ আসাম বিধানসভা নির্বাচন ছিল আসামের ১৫ তম
বিধানসভা নির্বাচন যা অনুষ্ঠিত হয় ২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত, ১২৬ জন বিধায়ক নির্বাচনের জন্য।
আসামের লোকসভা আসন:
আসামের মোট লোকসভা আসন ১৪টি।
আসামের ইতিহাস:
আসামের প্রথমে রয়েছে প্রগৈতিহাসিক যুগ, তারপর আদি যুগ ও মধ্যযুগ, তারপর আসে বিট্রিশ আসাম, তারপরও স্বাধীনতার পরবর্তী।আসামের ইতিহাস ১৮২৪
সালে আসাম প্রথম আংলো বার্মিজ যুদ্ধের পরে ব্রিটিশ বাহিনী কর্তৃক দখল হয়েছিল এবং
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮২৬ এর ইয়াণ্ডাবু সন্ধি মাধ্যমে ব্রিটেনের হাতে তুলে দেয়। ১৮৩২-
১৮৩৮ সালের অক্টোবর অবধি আসাম করদ রাজ্যটি উচ্চ আসামি স্থানান্তর করা হয়েছিল এবং
ব্রিটিশরা নিম্ন আসামে রাজত্ব করেছিল।১৯৭২ সালে অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরাম
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গঠিত হয়। পরবর্তী ১৯৮৬ সালে তা পূর্ণ রাজ্যের রূপ পায়।
আসামের উৎসব:
আসাম হলো বিভিন্ন উৎসব ও মেলার ভূমি। বিহু হলো
আসামে মানুষদের প্রধান ভাষা। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অসমীয়রা বিহু পালন
করে।এছাড়াও রয়েছে দুর্গাপূজা, কালীপূজা,
দীপান্বিতা, কামাখ্যা মেলা, মে-ডাম-মে-ফী, ঈদ, মহরম, শংকরদেবের
জন্মোৎসব, বৈচাগু, আলি আঃয়ে লৃগাং, বাইখু, রংকের, জোনবিল ইত্যাদি
পালন করা হয়।
আসামের দর্শনীয় স্থান:-
আসাম লাল নদের এবং নীল পাহাড়ের দেশ নামে পরিচিত। আসামে বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রীয় উদ্যান, মন্দির, ঐতিহাসিক স্থান, চা বাগান, পাহাড় প্রভৃতি জায়গা। আসামে দর্শনীয় স্থান
কামাখ্যা মন্দির: এটি ভারতের তান্ত্রিক বৌদ্ধদের একটি আসন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে পার্বতী দেহের যোনি এখানে পড়েছিল। তারপর থেকে এটি একটি পবিত্র শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিত হয়।
হাফলং: এটি একটি চিত্রানুগ শৈল শহর। এখান থেকে নিচে রামধনু দেখা যায়। হাফলং থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জটিঙ্গা পরিযায়ী পাখিদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার জন্য বিখ্যাত।
শিব সাগর: এই ঐতিহাসিক শহরের কেন্দ্রে ২০০ বছর বয়সি শিবসাগর নামক এক জলাশয় রয়েছে।
মাজুলী দ্বীপ: ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যস্থলে অবস্থিত, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী দ্বীপ।
মানস জাতীয় উদ্যান: মানস নদীর তীরে ব্যাঘ্র সংরক্ষণের জন্য সুপরিচিত এছাড়াও এটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান: এটি একশৃঙ্গ গন্ডারের আশ্রয়স্থল এটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান।
হাজো: এই স্থানটিকে হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের একটি সংমিশ্রণ বলা যেতে পারে।
অগ্নিগড়: এটি একটি আসামের আবশ্যক পরিদর্শন স্থান। এখান থেকে বহ্মপুত্র ও তেজপুর একটি মনোহর দৃশ্য দেখা যায়।
ডিব্রুগঢ়-সিংফো: এখানে চা বাগান রয়েছে। বলা হয় যে ব্রিটিশরা এখান থেকে চা লাগানো শিখেছিল।
আসামের অজানা কিছু তথ্য I onlinedairy.in |